প্রকাশিত: ৩০/১০/২০১৫ ৭:৫২ অপরাহ্ণ
উখিয়ার মহাজনপাড়া মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

Kotin Cibordan csb24.com
পলাশ বড়ুয়া ॥
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ মহাজন পাড়া মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে চীবর দানানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

৩০ অক্টোবর দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার শুরুতে প্রভাতফেরী, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সংঘদান, ভিক্ষুসংঘের মধ্যাহ্নভোজন এবং বেলা ২টার সময় উদ্বোধক মহাজন পাড়া মৈত্রী বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহ-সভাপতি শ্রীমৎ এস. ধর্মপাল মহাথের’র উদ্বোধনীর মাধ্যমে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন মহাসচিব শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় মহাস্থবির। প্রধান সদ্ধর্মদেশক অধ্যাপক ড. জ্ঞানরতœ মহাথের, সদ্ধর্ম ভাষণ করেন, শ্রীমৎ জ্ঞানভাচা মহাথের, শ্রীমৎ বিমলাচার মহাথের, শ্রীমৎ বিমল জ্যোতি মহাথের, শ্রীমৎ ইন্দ্রবংশ মহাথের, শ্রীমৎ কুশলায়ন মহাথের, শ্রীমৎ প্রজ্ঞাবোধি থের, শ্রীমৎ জ্যোতি শান্ত ভিক্ষু, শ্রীমৎ জ্যোতিপ্রিয় ভিক্ষু, শ্রীমৎ জ্যোতি আর্য ভিক্ষু, শ্রীমৎ দেবমিত্র মহাস্থবির, শ্রীমৎ জ্যোতি দত্ত সহ অনুত্তর পূণ্যক্ষেত্র ভিক্ষুসংঘ। সভা চলাকালীন টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি সুপ্ত ভুষণ বড়ুয়া সহ সদ্ধর্মালোচনা করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, কক্সবাজার জেলা সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়ুয়া, সরকারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বোধিমিত্র বড়ুয়া, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরবিন্দু বড়ুয়া।

সভায় বক্তারা আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে বুদ্ধের অমিয় বাণী প্রচার করেন। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়–য়া বলেন, তাঁর একক প্রচেষ্টায় প্রবারণা উপলক্ষে সরকারী বরাদ্ধ সহ বিভিন্ন সময় ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের অর্থ বৌদ্ধ সমিতির মাধ্যমে যথাযথ ভাবে বণ্টন করা হলেও সম্প্রতি শুধুমাত্র উখিয়া উপজেলার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আমার নামে কুৎসা রটিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। সে জন্য চলতি প্রবারণা পূর্ণিমা/২০১৫ উদ্যাপন উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য টিআর চালের উপ-বরাদ্ধ করা হয়েছে। তৎমধ্যে কক্সবাজার সদর- ২৬টি, রামু- ২৩টি, চকরিয়া-২৫টি, পেকুয়া-০২টি, মহেশখালী-০৭টি, উখিয়া-৪১, টেকনাফে-১৫টি সহ সর্বমোট- ১৩৯টি বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য ৬৯.৫০০ মে:টন চাল অর্থাৎ প্রতিটি মন্দিরের জন্য ৫০০ কেজি চালের বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তাই প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটিকে যথাযথ ভাবে বরাদ্ধ গ্রহণ সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শিক্ষক তুষার বড়ুয়া। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন করেন মানস বড়ুয়া। সদ্ধর্ম সভা শেষে বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও ফানুস বাতি উড়ানো হয়।

পাঠকের মতামত